অফার

Chotoder adob serise o akhlak series

ছোটদের আদব সিরিজ ও ছোটদের আখলাক সিরিজ একত্রে

হোসাইন-এ-তানভীর

Shaykh Abdul Hai Muhammad Saifullah 3 wonderful books

শায়খ আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ অসাধারণ ৩টি বই 

শাইখ আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ

chotoder nobi rasul series

ছোটদের নবি-রাসূল সিরিজ

ড. মিজানুর রহমান আজহারি

hayater din furole

হায়াতের দিন ফুরোলে

আরিফ আজাদ

jege otho abar

জেগে ওঠো আবার

quran theke neya jiboner path

কুরআন থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ

আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ। জন্ম এবং বেড়ে ওঠা নওগাঁ শহরে। প্রাথমিক পাঠও সেখানে। এরপর কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদীস বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ফ্যাকাল্টি ফার্স্ট হওয়ার সুবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ‘রাষ্ট্রপতি গোল্ড মেডেল’ প্রাপ্ত হন। একই প্রতিষ্ঠান থেকে এম.ফিল ডিগ্রীও অর্জন করেন। বর্তমানে সেখানেই পিএইচডি গবেষণারত। শিক্ষাজীবনে প্রতিটি স্তরে রেখেছেন কৃতিত্বের স্বাক্ষর। তিনি বাংলাদেশের প্রখ্যাত স্কলার ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ)-এর একজন ছাত্র। খতীব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মসজিদুল জুম’আ কমপ্লেক্স, পল্লবীতে। একইসাথে বেসরকারি টেলিকম সেবা দানের প্রতিষ্ঠান ইবিএস-এর রিলিজিয়াস ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এবং তিন কন্যাসন্তানের জনক। এই তরুণ আলিম পছন্দ করেন আল্লাহর পথে দাওয়াত দিতে, লিখতে এবং তরুণ ও যুবসমাজের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক কাজ করতে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের বইমেলা’ ২০২১-এ ‘যে আফসোস রয়েই যাবে’ ও ‘ইনসাইড ইসলাম’ নামে তার দুটি নতুন বই প্রকাশ হচ্ছে। তিনি একজন প্রাঞ্জলভাষী দাঈ হিসেবে বাংলাদেশের সর্বত্র সুপরিচিত। আল্লাহ তাআলা তার হায়াতে ও ইলমে বারাকাহ দান করুন। শাইখের বক্তব্য ও নাসীহা ছড়িয়ে আছে ইউটিউব ও ফেইসবুক জুড়ে। উপকৃত হতে চোখ রাখুন— fb.com/abdulhimd.saifullah youtube.com/user/TheSaifullah1988

shaikh abdul hai muhammad saifullah

যুক্ত করা হবে ইনশা আল্লাহ।

Hossain A Tanvir

yusuf ali

এম.এ.ইঊসুফ আলী

আরিফ আজাদ একজন জীবন্ত আলোকবর্তিকা- লেখক আরিফ আজাদকে বর্ণনা করতে গিয়ে একথাই বলেছেন ডঃ শামসুল আরেফিন। গার্ডিয়ান প্রকাশনী আরিফ আজাদের পরিচয় দিতে গিয়ে লিখেছে, “তিনি বিশ্বাস নিয়ে লেখেন, অবিশ্বাসের আয়না চূর্ণবিচুর্ণ করেন।” আরিফ আজাদ এর বই মানেই একুশে বইমেলায় বেস্ট সেলার, এতটাই জনপ্রিয় এ লেখক। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে সবচেয়ে আলোড়ন তোলা লেখকদের একজন আরিফ আজাদ। ১৯৯০ সালের ৭ই জানুয়ারি চট্টগ্রামে জন্ম নেয়া এ লেখক মাধ্যমিক শিক্ষাজীবন শেষ করে চট্টগ্রাম জিলা স্কুলে। একটি সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখানে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন। লেখালেখির ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আরিফ আজাদ এর বই সমূহ পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তার প্রথম বই ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ ২০১৭ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশ পায়। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদ বিভিন্ন কথোপকথনের মধ্যে তার নাস্তিক বন্ধুর অবিশ্বাসকে বিজ্ঞানসম্মত নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে খণ্ডন করে। আর এসব কথোপকথনের মধ্য দিয়েই বইটিতে অবিশ্বাসীদের অনেক যুক্তি খণ্ডন করেছেন লেখক। বইটি প্রকাশের পরপরই তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এটি ইংরেজি ও অসমীয়া ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। ২০১৯ সালের একুশে বইমেলায় ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ - ২’ প্রকাশিত হয়ে এবং এটিও বেস্টসেলারে পরিণত হয়। সাজিদ সিরিজ ছাড়াও আরিফ আজাদ এর বই সমগ্রতে আছে ‘আরজ আলী সমীপে’ এবং ‘সত্যকথন’ (সহলেখক) এর মতো তুমুল জনপ্রিয় বই।

arif azad

মিজানুর রহমান আজহারি।
তরুণ চিন্তক এবং জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক। বিশ্বখ্যাত আল-আজহার ইউনিভার্সিটির তাফসির অ্যান্ড কুরআনিক সাইন্স ডিপার্টমেন্ট থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া-এর ডিপার্টমেন্ট অব কুরআন অ্যান্ড সুন্নাহ স্টাডিজ থেকে স্নাতকোত্তর শেষে সেখানেই পিএইচডি গবেষণা করছেন। স্বপ্ন দেখেন ইনসাফ, আদল ও ইহসানের ভিত্তিতে এক উন্নত সমাজকাঠামোর। তরুণ প্রজন্মকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেন বিশ্বাসের পরশে। বোধ ও সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কুরআন-সুন্নাহর কথামালা তুলে ধরার প্রয়াস নেন জনপদ থেকে জনপদে, কি-বোর্ডে কিংবা ক্যামেরার সামনে।

mijanur rahman ajahari

ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহিমাহুল্লাহ) ১৬৪ হিজরি/৭৮০ খৃষ্টাব্দে বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেন। বাগদাদে তিনি আইন, হাদীস ও অভিধানশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করেন। তখন তিনি কিছুদিনের জন্য ইমাম আবূ হানীফা (রহিমাহুল্লাহ)-র প্রধান ছাত্র ও তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ইমাম আবূ ইউসুফ (রহিমাহুল্লাহ)-র পাঠচক্রে হাজিরা দিয়েছিলেন। তবে বাগদাদে তিনি ছিলেন ইমাম শাফিয়ি (রহিমাহুল্লাহ)-র একান্ত ছাত্র। পরবর্তীতে তিনি হাদীসশাস্ত্রের দিকে পূর্ণ মনোনিবেশ করেন। বিশুদ্ধ হাদীসের সন্ধানে তিনি কুফা, বসরা, মক্কা, মদীনা, ইয়েমেন ও শাম, মরক্কো, আলজেরিয়া, পারস্য, খোরাসান, মিডিয়া প্রভৃতি অঞ্চল ভ্রমণ করেন। তিনি শাসকদের উপহার প্রত্যাখ্যান করতেন। বই লিখে যে অর্থ পাওয়া যেতো—তা দিয়ে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন। আবার কখনো কখনো কায়িক শ্রম দিয়ে অর্থ উপার্জন করতেন। তাঁর লিখিত গ্রন্থাবলির মধ্যে রয়েছে: আল-মুসনাদ, আর-রাদ্দু আলায-যানাদিকাহ, কিতাবুয যুহ্‌দ। ‘আল-মুসনাদ’ নামক হাদীসশাস্ত্রের এ বিশ্বকোষটিতে তিনি প্রায় উনত্রিশ হাজার হাদীস সংকলন করেছেন। হাদীস চর্চার পাশাপাশি তিনি অজস্র আইনগত প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন, যা তাঁর ছাত্রবৃন্দ সুবিন্যস্ত করে প্রকাশ করেছেন। আর এর ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছে ‘হাম্বালি মাযহাব’ নামে ইসলামি আইনশাস্ত্রের আরেকটি গ্রহণযোগ্য মাযহাব। তিনি ২৪১ হিজরি / ৮৫৫ খৃষ্টাব্দে ইন্তেকাল করেন। তাঁকে বাগদাদের মাকাবিরুশ শুহাদা (শহীদি কবরস্থান)-এ দাফন করা হয়।

imam ahmad ibnu hambal

ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রাহিমাহুল্লাহ)

সংগ্রহে রাখার মত বই

সেরা লেখকের বই

সেরা প্রকাশনীর বই

জনপ্রিয় বই

শিশুতোষ

উপহার দেয়ার মত বই

rasuler chokhe duniya

রাসূলের চোখে দুনিয়া

শাইখ জিয়াউর রহমান মুন্সী

attoshuddhi

আত্মশুদ্ধি

আবদুল্লাহ আল মাসউদ

আবূ আবদুর রহমান আস-সুলামী (রাহিমাহুল্লাহ)

bandar dake allahor sara

বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া

শাইখ ড. সাঈদ ইবনু আলি কাহ্তানি (রাহিমাহুল্লাহ)

shikhorer sondhane

শিকড়ের সন্ধানে

হামিদা মুবাশ্বেরা

chotoder prio rasul

ছোটদের প্রিয় রাসূল

messeage

ম্যাসেজ

vruner artonad

ভ্রূণের আর্তনাদ

শাহিনা বেগম

paribarik sonkote nobijir upodesh

পারিবারিক সংকটে নবিজির উপদেশ

ড. ইয়াদ কুনাইবী

ami ki tomader janiye debo na

আমি কি তোমাদের জানিয়ে দেবো না?

hijaber bidhibidhan

হিজাবের বিধিবিধান

উমাইর লুৎফর রহমান

শাইখ আব্দুল আযীয তারীফি

isa ibn mariyam

ঈসা ইবনে মারইয়াম আ. : যাঁর অপেক্ষায় আগামীর পৃথিবী

ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

madarijus salikin

মাদারিজুস সালিকীন : আল্লাহওয়ালা হওয়ার সার্বিক দিকনির্দেশনা

মাওলানা আসাদ আফরোজ

ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রহ.)

the jerusalem secret

দ্য জেরুজালেম সিক্রেট

আব্দুল করিম নোমানী

পল সাসম্যান

muslim jatir itihas

মুসলিম জাতির ইতিহাস (দুই খন্ড)

ড. সুহাইল তাক্কুশ

dost janeman

দোস্ত, জানেমান

মুহাম্মদ আতীক উল্লাহ

jibon theke shikkha

জীবন থেকে শিক্ষা

আলী হাসান উসামা

muslim narir purnango masail

মুসলিম নারীর পূর্ণাঙ্গ মাসাইল

আল্লামা মুহাদ্দিস আমর আবদুল মুনঈম সালিম

jibon jagar golpo 13 ogo shuncho

জীবন জাগার গল্প ১৩ঃ ওগো শুনছো

chotoder akhlak serise

ছোটদের আখলাক সিরিজ

chotoder adob serise

ছোটদের আদব সিরিজ

somoy ke kaje lagan

সময়কে কাজে লাগান

ইমাম ইবনু রজব হাম্বলি (রহঃ)

শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু সুলাইমান মুহান্না

musafirer patheo

মুসাফিরের পাথেয়

 আল্লামা ইবনুল কায়্যিম জাওযিয়্যাহ রহ

golpo kolpo chinta

গল্প কল্প চিন্তা

আহমাদ ইউসুফ শরীফ

nasihah aponar khidmote ekguccho upodesh

নাসীহাহ : আপনার খিদমতে একগুচ্ছ উপদেশ

শায়খ মোখতার আহমাদ

islami  sovvotay cikitsabigganer itihas

ইসলামি সভ্যতায় চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাস

আশিকুর রহমান

ড. রাগিব সারজানি

nijeke egiye nin

নিজেকে এগিয়ে নিন

মাওলানা সাইফুল ইসলাম

ইমাম ইবনু রজব হাম্বলী (রাহিমাহুল্লাহ)

bissaser sadhinota

বিশ্বাসের স্বাধীনতা

মাওলানা মামূনুর রশীদ

মুজাহিদুল ইসলাম

quran mazid by bayan

কুরআন মাজীদ

kiyamul lail

কিয়ামুল লাইল

সুবুত টিম

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল

sobar upore iman

সবার উপরে ঈমান

Musalimajati bisbake ki diyeche (cara khanda)

মুসলিমজাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে ১-৪ খণ্ড

<p>প্রি অর্ডার এর সকল বই দেখুন</p>

অতি শীঘ্রই আমরা তার জীবনী সংযুক্ত করব

শাইখ ইবরাহীম আলি (রাহিমাহুল্লাহ)

shaikh ibrahim ali

ইমাম বাইহাকি (রাহিমাহুল্লাহ) বাইহাক অঞ্চলের খুসরাওজির্‌দ গ্রামে (খোরাসান অঞ্চলের তৎকালীন জেলা নিশাপুর থেকে একটু পশ্চিমে) ৩৮৪ হিজরি/ ৯৯৪ খৃষ্টাব্দে জন্ম গ্রহন করেন। জ্ঞানার্জনের উদ্দেশে বহু দেশ সফর করেছেন। শিক্ষকের সংখ্যা শতাধিক। প্রসিদ্ধ শিক্ষকবৃন্দের একজন হলেন 'আল-মুস্‌তাদ্‌রাক আলাস্‌ সহীহাইন' গ্রন্থের লেখক হাকিম নিশাপুরি রহ.। তাঁর লিখিত বই-পুস্তকের সংখ্যা অনেক; খণ্ড সংখ্যা প্রায় এক হাজার। তিনি ৪৫৮ হিজরিতে/১০৬৬ খৃষ্টাব্দে ৭৪ বছর বয়সে নিশাপুরে ইন্তেকাল করেন। খুসরাওজির্‌দ গ্রামে তাঁকে দাফন করা হয়।

imam baihaki rhm

ইমাম বাইহাকি (রাহিমাহুল্লাহ)

আবূ আবদুর রহমান আস-সুলামী (রাহিমাহুল্লাহ) ৩২৫ হিজরির জুমাদাল উখরার ১০ তারীখে তিনি নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। আবূ আবদুর রহমান আস-সুলামী পরিপূর্ণ দ্বীনী পরিবেশে বেড়ে উঠেন। তাঁর নানার পরিবার ছিলো একটি খাঁটি দ্বীনদার পরিবার। ফলে বাল্যকাল থেকেই তিনি ইসলামের সুমহান শিক্ষার উপর বড় হতে থাকেন। তাঁর বয়স কিছুটা বাড়ার পর তিনি তৎকালীন খ্যাতিমান আলেমদের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে বিখ্যাত মুহাদ্দিস দারাকুতনি—রাহিমাহুল্লাহ—অন্যতম। এছাড়া আবূ নসর সিরাজ, আবূ আমর নাজীদ, আবুল কাসিম নাসিরাবাদি, আবুল আব্বাস আল-আসাম্ম প্রমুখের কাছ থেকেও তিনি ইলমে দ্বীন অর্জন করেন। পঞ্চম হিজরি শতকে মুসলিম বিশ্বের আকাশে যেসকল জ্বলজ্বলে তারকার উদয় ঘটেছিলো তাদের একজন ছিলেন আবূ আবদুর রহমান আস-সুলামী—রাহিমাহুল্লাহু তাআলা। তিনি ছিলেন আত্মশুদ্ধি ও ইসলাহুন নাফস নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম একজন। তাঁর অধিকাংশ রচনাই এই বিষয়কে ঘিরে আবর্তিত। তাঁর মোট রচনাবলী প্রায় এক শরও অধিক। এই মহান মনীষী ৪১২ হিজরিতে ইন্তিকাল করেন।

abu abdur rahman as sulami

ইমাম ইবনু আবিদ দুন্ইয়া (রাহিমাহুল্লাহ) বাগদাদে ২০৮ হিজরিতে (খৃ. ৮২৩) জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মুহাম্মাদ ইবনু উবাইদ ছিলেন খ্যাতিমান মুহাদ্দিস (হাদীসবিশারদ)। বেশ কয়েকজন আব্বাসী শাসককে ছোটবেলায় পড়িয়েছেন তিনি; তাদের মধ্যে মু'তাদিদ ও তার ছেলে মুক্‌তাফি বিল্লাহ'র নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বাকপটু; উপদেশ দেওয়ার সময় শ্রোতাদেরকে খুব সহজে হাসাতে ও কাঁদাতে পারতেন। তাঁর শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন ইসহাক ইবনু রাহ্‌ওয়াই, কাসিম ইবনু সাল্লাম, তাবাকাত-রচয়িতা ইবনু সাদ, বুখারি, আবূ দাঊদ ও আবূ হাতিম রাযি—রহিমাহুমুল্লাহ। ওই সময় বাগদাদ ছিল ইসলামি জ্ঞানের কেন্দ্র; বিভিন্ন অঞ্চল থেকে স্বয়ং বিদ্বানরাই সেখানে আসতেন। তাই বাগদাদের বাইরে জ্ঞানার্জনের উদ্দেশে খুব বেশি সফরে না যাওয়ায়, ইবনু আবিদ দুন্‌ইয়া—রহিমাহুল্লাহ—এর জ্ঞানার্জনে বিশেষ কোনও ঘাটতি হয়নি। তাঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা অনেক; তবে বেশিরভাগের প্রকৃতি হলো ছোট ছোট পুস্তিকার মতো, সংখ্যায় যা শতাধিক। তিনি ৭৩ বছর বয়সে ২৮১ হিজরিতে (খৃ. ৮৯৪) বাগদাদে ইন্তেকাল করেন।

imam ibnu abid duniya

ইমাম ইবনু আবিদ দুন্ইয়া (রাহিমাহুল্লাহ)

ইমাম মুহাম্মাদ (রাহিমাহুল্লাহ) জন্ম গ্রহন করেছেন ১৩২ হিজরিতে (খ্রি. ৭৪৯), বসরা ও কুফার মাঝখানে অবস্থিত ওয়াসিত শহরে। বেড়ে উঠেছেন তৎকালীন ইসলামি জ্ঞান-গবেষণার অন্যতম কেন্দ্র কুফায়। ইমাম আবূ হানীফা, আবূ ইঊসুফ, মিসআর, মালিক ইবনু মিগ্‌ওয়াল, উমার ইবনু যার, সুফ্‌ইয়ান সাওরি, আওযায়ি ও ইবনু জুরাইজ রহ. সহ সমকালীন বহু বিদ্বানের কাছে  তিনি হাদীস ও আইনশাস্ত্রে শিক্ষা লাভ করেন। মুওয়াত্তা-প্রণেতা ইমাম মালিক -এর কাছে তিনি তিন বছর হাদীস অধ্যয়ন করেন। ইমাম আবূ ইঊসুফ রহ.-এর পর তিনি ইরাক অঞ্চলে ইসলামি আইনশাস্ত্রের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। বিশ বছর বয়সে কুফার মাসজিদে পাঠদান শুরু করেন। তিনি এত উচ্চমানের ভাষাবিদ ছিলেন যে, তাঁর ব্যবহৃত বাক্যকে ব্যাকরণের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হয়। তাঁর গ্রন্থাবলিতে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি হাদীসের উল্লেখ পাওয়া যায়। যুদ্ধ ও শান্তি বিষয়ে তাঁর লেখা 'আস-সিয়ারুস সগীর' ও 'আস-সিয়ারুল কাবীর' গ্রন্থ-দুটি আন্তর্জাতিক আইনের অনবদ্য দলিল। গ্রন্থ-দুটির জন্য জার্মানির আইনজ্ঞগণ তাঁকে পাশ্চাত্য-আন্তর্জাতিক আইনের জনক হুগো গ্রোসিয়াসের (Hugo Grotius) সঙ্গে তুলনা করেছেন। হারূনুর রশীদের শাসনামলে তিনি বেশ কয়েক বছর রাক্কা'র বিচারক পদেও দায়িত্ব পালন করেন। ৫৮ বছর বয়সে তিনি রাই শহরে ১৮৯ হিজরিতে (খ্রি. ৮০৫) ইন্তেকাল করেন।

imam muhammad

ইমাম মুহাম্মাদ (রাহিমাহুল্লাহ)

শাইখ ড. সাঈদ ইবনু আলি ইবনু ওয়াহাফ কাহ্‌তানি -এর জন্ম ১৩৭২ হিজরিতে। নবি-রাসূলগণের রীতি অনুযায়ী, শিশুকাল কেটেছে মরুভূমিতে, মেষ চরিয়ে। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শুরু পনেরো বছর বয়সে। প্রসিদ্ধ আলিম শাইখ আবদুল আযীয ইবনু আব্‌দিল্লাহ ইবনি বায -এর নিবিড় তত্ত্বাবধানে টানা বিশ বছর অধ্যয়ন করেছেন। এরপর ১৪১৯ হিজরিতে ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু সাঊদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ফিক্‌হুদ দাওয়াহ্‌ ফী সহীহিল ইমাম আল-বুখারি' শীর্ষক থিসিস রচনা করে পি.এইচ.ডি. ডিগ্রি লাভ করেন। ১৪৪০ হিজরিতে তিনি তার মহান রবের সান্নিধ্যে পাড়ি জমান।

dr. said ibnu ali kahtani

পুরো নাম তাকীউদ্দীন আহমাদ ইবনু আব্‌দিল হালীম ইবনি তাইমিয়্যা। জন্ম ৬৬১ হিজরি/১২৬৩ সালে; হালাকু খান কর্তৃক বাগদাদ ধ্বংসের মাত্র পাঁচ বছর পর। জন্মস্থান হার্‌রান; বর্তমানে তুরস্কের অধীন। মঙ্গোলিয়ানদের আক্রমণের আশঙ্কায় তিনি ৬ বছর বয়সে পিতার সাথে জন্মস্থান ছেড়ে দামেশকে চলে আসেন। ১৩০০ খৃস্টাব্দে মঙ্গোলিয়ানদের আক্রমণের মোকাবিলায় তাঁর প্রতিরোধমূলক কর্মকাণ্ড ছিল উল্লেখযোগ্য। ইমাম ইবনু তাইমিয়্যা রহ.। ইসলামের বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাসে অবিস্মরণীয় প্রতিভা; তাফসীর, হাদীস, ফিক্‌হ ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। আপোষহীন মানসিকতা ও নির্ভীক মতপ্রকাশের দরুন তিনি শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়েন। সরকার তাকে বন্দি করে জেলখানায় পাঠায়। জেলে থাকাকালেই ৭২৮ হিজরি/ ১৩২৮ খৃস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন। তাঁকে দামেশকের সূফিয়্যা কবরস্থানে দাফন করা হয়।

imam ibnu taimiya

ইমাম ইবনু তাইমিয়্যা (রাহিমাহুল্লাহ)

১১৮ হিজরি সনের দিকে খুরাসানের মারও শহরে জন্ম নেন বহুমুখী প্রতিভাধর আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক। তিনি ছোটোদের থেকেও সংকলন করেছেন, বড়োদের থেকে সংকলন করেছেন। তিনি হাদীসের বিশাল ভাণ্ডার সংরক্ষণ করেছেন। হাদীসের বর্ণনাসূত্রের মান (বিশুদ্ধ অথবা বানোয়াট) যাচাই করার শাস্ত্রকে বলা হয় ‘জারহ ওয়া তা’দিল’। আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক নিজেও ছিলেন জারহ-তা’দিলের তুখোড় বিশেষজ্ঞ। আবার তাঁর মাধ্যমে বর্ণিত হাদীসগুলোও জারহ-তা’দিলের মানদণ্ডে নিশ্চিতভাবে উত্তীর্ণ। ইমাম বুখারি তাঁর সূত্রে বর্ণিত হাদীস লিপিবদ্ধ করেছেন। সমসাময়িক চারজন বিখ্যাত মুহাদ্দিস ছিলেন—সুফইয়ান সাওরি, মালিক ইবনু আনাস, হাম্মাদ বিন যায়দ এবং আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক। সুফইয়ান সাওরির ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও ইবনুল মুবারককে সুফইয়ান সাওরির চেয়ে জ্ঞানী ধরা হতো। এমনকি সুফইয়ান নিজেই সে সাক্ষ্য দেন। আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক অনেক তাবিয়ির সাক্ষাৎ পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন হিশাম ইবনু উরওয়াহ, ইসমাঈল ইবনু আবী খালিদ, আ’মাশ, সুলাইমান তাইমি, হামিদ তাবিল, আবদুল্লাহ ইবনু আওন, খালিদ ইবনু মিহরান হাযযা, ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আনসারি, মূসা ইবনু উকবা প্রমুখ।” আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক শুধু জ্ঞানের মাধ্যমেই না, অস্ত্রের মাধ্যমেও ইসলামের প্রতিরক্ষা করেছেন। এক বছর হাজ্জ করা, আর পরের বছর জিহাদে যাওয়াটা ছিল তার আমৃত্যু অভ্যাস। এমনকি তাঁর মৃত্যুও হয় একটি জিহাদ থেকে ফিরে আসার পর। বিশেষত রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কারণে তিনি বেশি পরিচিত। পার্থিব ও ধর্মীয় বিদ্যার নানা শাখায় পারদর্শিতার পাশাপাশি ইবনুল মুবারক একজন দক্ষ কবি। সমসাময়িক নানা বিষয়ে (ধর্মতত্ত্ব, রাজনীতি, দৃষ্টিভঙ্গি, সমাজ) তিনি উপদেশের ভঙ্গিতে কবিতা লিখতেন। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ীও ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় তিনি ব্যবসা করেছেন। যার জীবন যেভাবে কাটে, তার মৃত্যু সেভাবেই হয়। আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারকের মৃত্যু এই বাস্তবতার সাক্ষী। ১৮১ হিজরি (৭৮৭ ঈসায়ি) সনের পবিত্র রমাদান মাস। তাঁর বয়স তখন ৬৩ বছর। এক জিহাদ থেকে ফিরে আসার পর ভোরবেলায় তাঁর রূহ আল্লাহর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত আছে যে, ইরাকের বাগদাদে ফুরাত নদীর নিকটবর্তী এক এলাকায় তিনি সমাধিস্থ হয়েছেন।

imam abdullah ibnul mubarak

ইমাম আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক (রাহিমাহুল্লাহ)

শিহাব আহমেদ তুহিন। জন্ম ২৭ শে রমাদান ১৪১৪ হিজরীতে। বাবা শফি উদ্দিন আহমেদ। মা মোসা: আনোয়ারা বেগম। বড় হয়েছেন গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানার মরকুন গ্রামে। এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেছেন টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একাডেমী এন্ড কলেজ থেকে। তারপর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (KUET) থেকে তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল (EEE)  বিভাগে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেছেন। ভালোবাসেন ইসলাম নিয়ে পড়াশুনা করতে। আর অর্জিত জ্ঞানটুকু সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে ।

shihab ahmed tuhin

শিহাব আহমেদ তুহিন

১৯৯৫ সালের জামালপুরে জন্ম গ্রহন করেন জাকারিয়া মাসুদ। তিনি তার নিজের সম্পর্কে বলছেন, সত্যের আলোর সাথে পরিচিত হই ২০১১ সালে। লেখালিখির হাতেখড়ি ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে। সত্যের আলো থেকে যে শিক্ষা পেয়েছি, তা-ই ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছে থেকে লেখালিখিতে আসা। আমার প্রথম বই ‘সংবিৎ’, দ্বিতীয় বই ‘ভ্রান্তিবিলাস’, তৃতীয় বই ‘তুমি ফিরবে বলে’। সহলেখক হিসেবে কাজ করেছি ‘সত্যকথন’ ও ‘প্রত্যাবর্তন’ বই দুটোতে। আর... থাক না কিছু অজানা। আমাদের চারপাশে তো কত ঘটনাই ঘটে যাচ্ছে, আমরা কি সবই জানি?

jakaria masud

জাকারিয়া মাসুদ

আমি আশরাফুল আলম। বর্তমানে মেডিক্যাল সাইন্সে পড়াশুনা করছি, পাশাপাশি অনলাইন ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে ‘ডিপ্লোমা ইন ইসলামিক স্টাডিজ’ কোর্সে অধ্যয়নরত আছি। ভালোবাসি সত্যকে খুঁজতে এবং সেটা আলোর ন্যায় ছড়িয়ে দিতে। অবসর সময়ে বিভিন্ন ইসলামি বই পড়ি এবং গবেষণা করি। আমার প্রথম বই ‘অ্যান্টিডোট’ যা বইমেলা ২০১৮ এ প্রকাশ হয়েছিলো। আর আলহামদুলিল্লাহ বইমেলা ২০১৯ এ আমার প্রথম অনূদিত বই হিসেবে আসছে ইমাম ইবনু কায়্যিম রহিমাহুল্লাহ এর ‘ওয়াসওয়াসা: শয়তানের কুমন্ত্রণা’ আল্লাহ তাআলার তৌফিকে সফলও হয়েছি। এখন শুধুমাত্র কবুলিয়্যাতের আশায় আছি...

ashraful alam sakif

আশরাফুল আলম সাকিফ

Buy Best Books Online with Aladaboi.com - The Best Online Book Shop you can Trust

আমাদের সম্পর্কে

যোগাযোগ

Download App

সেবাসমূহ

ফেসবুকে আলাদাবই